প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের বহুল কাঙ্খিত দৃষ্টিনন্দন বাঁকখালী সেতুর উদ্বোধন করেছেন। শনিবার (১১ নভেম্বর) তিনি এই সেতুর সঙ্গে আরও ১৬টি প্রকল্পের দ্বার উন্মোচন করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকখালী সেতুতে চলে আতশবাজি উৎসব।
কিন্তু সন্ধ্যার দিকে ওই সেতু থেকে ১২টি বাতি চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উদ্বোধনের দিন আলোকসজ্জায় সেতুকে রাঙিয়ে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই সুযোগে ১২টি বাতি চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বাঁকখালী সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতুর ওয়ালে লাগানো বাতিগুলো নেই। সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল উদ্বোধনের পর সেতুটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সুযোগে সেতুর দুই পাশের ১২টি বাতি চুরি হয়ে যায়। বাকি বাতিগুলো চুরি হওয়ার আশঙ্কায় খুলে রাখে কর্তৃপক্ষ। যানবাহন ও পথচারী চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। এখন শুনেছি। আমি একটি মিটিংয়ে রয়েছে। মিটিং শেষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এরকম কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি।’
উল্লেখ্য, ২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যের দৃষ্টিনন্দন এই সেতু শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজার শহর থেকে নদীর উত্তর পাড়ে খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য বাঁকখালী নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সুত্র: রাইজিংবিডি
পাঠকের মতামত